---Advertisement---

মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন।”

furfura sharif asj
---Advertisement---

সলামে ধৈর্য সবর একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ গুণ। এটি কেবল প্রতিকূলতা মোকাবিলা করার একটি উপায় নয়, বরং আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস এবং তাঁর পরিকল্পনার প্রতি আত্মসমর্পণের একটি প্রকাশ।

জীবনে এমন অনেক মুহূর্ত আসে যখন আমরা কষ্টের সম্মুখীন হই, পরীক্ষার মুখোমুখি হই, অথবা আমাদের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হতে বিলম্ব ঘটে। এই সময়ে ধৈর্য ধারণ করা একজন মুমিনের জন্য অপরিহার্য।


কোরআনে আল্লাহ : তায়ালা বহুবার ধৈর্য ধারণের গুরুত্বের কথা উল্লেখ করেছেন এবং ধৈর্যশীলদের জন্য পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছেন।

সূরা আল-বাকারার ১৫৩ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন, “হে ঈমানদারগণ! তোমরা ধৈর্য ও সালাতের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন।”


ধৈর্য্যের অর্থ : এই নয় যে আমরা নিষ্ক্রিয়ভাবে বসে থাকব এবং পরিস্থিতির পরিবর্তনের জন্য অপেক্ষা করব। বরং, এর অর্থ হলো কষ্টের সময়েও অবিচল থাকা, আল্লাহর উপর ভরসা রাখা

এবং সাধ্যমত চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া। ধৈর্য ধারণের পাশাপাশি আমাদের উচিত আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়া এবং নিজেদের ভুলত্রুটি স্বীকার করে তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা।


নবী মুহাম্মদ (সাঃ)-এর জীবনে আমরা ধৈর্যের অসংখ্য উদাহরণ দেখতে পাই। মক্কায় যখন তিনি ইসলামের দাওয়াত দিচ্ছিলেন, তখন কাফেরদের পক্ষ থেকে অকথ্য নির্যাতন নেমে এসেছিল।

সাহাবীরাও নিগৃহীত হয়েছিলেন। কিন্তু নবী (সাঃ) এবং তাঁর অনুসারীরা সেই কঠিন সময়েও ধৈর্য ধারণ করেছিলেন এবং আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা রেখেছিলেন।

ধৈর্য্যের অর্থ এই নয় যে আমরা নিষ্ক্রিয়ভাবে বসে থাকব এবং পরিস্থিতির পরিবর্তনের জন্য অপেক্ষা করব। বরং, এর অর্থ হলো কষ্টের সময়েও অবিচল থাকা, আল্লাহর উপর ভরসা রাখা এবং সাধ্যমত চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া।

ধৈর্য ধারণের পাশাপাশি আমাদের উচিত আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়া এবং নিজেদের ভুলত্রুটি স্বীকার করে তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা।


নবী মুহাম্মদ সাঃ এর জীবনে আমরা ধৈর্যের অসংখ্য উদাহরণ দেখতে পাই। মক্কায় যখন তিনি ইসলামের দাওয়াত দিচ্ছিলেন, তখন কাফেরদের পক্ষ থেকে অকথ্য নির্যাতন নেমে এসেছিল।

সাহাবীরাও নিগৃহীত হয়েছিলেন। কিন্তু নবী (সাঃ) এবং তাঁর অনুসারীরা সেই কঠিন সময়েও ধৈর্য ধারণ করেছিলেন এবং আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা রেখেছিলেন।


ধৈর্য ধারণের অনেক উপকারিতা রয়েছে। প্রথমত, এটি আমাদের মানসিক শান্তি বজায় রাখতে সাহায্য করে। যখন আমরা অধৈর্য হয়ে পড়ি, তখন আমাদের মন অস্থির হয়ে ওঠে এবং আমরা হতাশ হয়ে পড়ি।

কিন্তু ধৈর্য ধারণের মাধ্যমে আমরা নিজেদের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারি এবং শান্ত থাকতে পারি।
দ্বিতীয়ত, ধৈর্য আমাদের আল্লাহর আরও কাছে নিয়ে যায়।

যখন আমরা কষ্টের সময়ে আল্লাহর উপর ভরসা রাখি এবং তাঁর কাছে সাহায্য চাই, তখন আমাদের ঈমান আরও মজবুত হয়।

আমরা বুঝতে পারি যে আল্লাহ সর্বশক্তিমান এবং তিনিই আমাদের সকল সমস্যার সমাধান করতে পারেন।তৃতীয়ত, ধৈর্য আমাদের উত্তম প্রতিদানের অধিকারী করে।

আল্লাহ তায়ালা কোরআনে ধৈর্যশীলদের জন্য অগণিত পুরস্কারের ওয়াদা করেছেন। সূরা আল আসর এ তিনি বলেন যারা ঈমান এনেছে, সৎকর্ম করেছে

এবং একে অপরকে সত্যের উপদেশ দিয়েছে এবং একে অপরকে ধৈর্যের উপদেশ দিয়েছে তারা ব্যতীত।


সুতরাং, আসুন আমরা আমাদের জীবনে ধৈর্য ধারণের গুরুত্ব উপলব্ধি করি এবং সর্বাবস্থায় ধৈর্য ধারণ করার চেষ্টা করি। মনে রাখবেন, কষ্টের পরেই আসে শান্তি এবং অন্ধকারের পরেই দেখা দেয় আলো।

আল্লাহ তায়ালা ধৈর্যশীলদের ভালোবাসেন এবং তাদের জন্য উত্তম প্রতিদান প্রস্তুত রেখেছেন।


কেমন লাগলো এই ইসলামিক আর্টিকেলটি? আপনি কি অন্য কোনো বিষয়ে আর্টিকেল চান?

Leave a Comment