হাদিসের আলোকে বিষয়টি আলোচনা করা যেতে পারে ইসলামে রাজনীতি করার বৈধতা ইসলামে রাজনীতিকে সিয়াসাহ বলা হয়, যার অর্থ জনগণের কল্যাণ ও রাষ্ট্র পরিচালনা।
কোরআনে রাষ্ট্র পরিচালনা ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।নবী মুহাম্মদ (সা.) মদিনায় একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডে অংশ নিয়েছিলেন।
খলিফাগণও রাষ্ট্র পরিচালনা করেছেন এবং জনগণের কল্যাণে কাজ করেছেন।
ইসলামে রাজনীতি করার শর্তসমূহ:
রাজনীতি হতে হবে ন্যায়বিচার ও সততার ভিত্তিতে। রাজনীতিতে কোরআন ও হাদিসের নীতি অনুসরণ করতে হবে।
রাজনীতিতে জনগণের কল্যাণ ও দেশের স্বার্থকে প্রাধান্য দিতে হবে। রাজনীতিতে দুর্নীতি, স্বৈরাচার ও অন্যায়কে প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না।
ইসলামে রাজনীতি করার ক্ষেত্রে সতর্কতা:
রাজনীতিকে ধর্মীয় উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা উচিত নয়।রাজনীতিতে বিভেদ ও হানাহানি সৃষ্টি করা উচিত নয়। রাজনীতিতে ব্যক্তিগত স্বার্থের চেয়ে জনগণের স্বার্থকে প্রাধান্য দেওয়া উচিত।রাজনীতিতে কোরআন,হাদিসের অপব্যাখ্যা করা উচিত নয়।
ভারতে রাজনীতিতে দুর্নীতি একটি বড় সমস্যা।
দুর্নীতি কমাতে এবং দেশকে এগিয়ে নিতে এখানে পাঁচটি উপায় দেওয়া হলো:
১.শিক্ষা: মানুষকে সততা, নৈতিকতা এবং আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে শেখানো উচিত।
২.আইনের শাসন: আইন সবার জন্য সমান হওয়া উচিত এবং এর কঠোর প্রয়োগ করা উচিত।
৩.স্বচ্ছতা: সরকারি কাজকর্মে স্বচ্ছতা আনা উচিত, যাতে মানুষ জানতে পারে কোথায় কী হচ্ছে।
৪.গণমাধ্যমের স্বাধীনতা: গণমাধ্যমকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেওয়া উচিত, যাতে তারা দুর্নীতির খবর প্রকাশ করতে পারে।
৫. জনগণের অংশগ্রহণ: জনগণকে রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে অংশ নিতে উৎসাহিত করা উচিত, যাতে তারা দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে পারে।
উপসংহার:
ইসলামে রাজনীতি করা বৈধ, তবে তা হতে হবে ন্যায়বিচার, সততা ও কোরআন-হাদিসের নীতির ভিত্তিতে। রাজনীতিতে জনগণের কল্যাণ ও দেশের স্বার্থকে প্রাধান্য দিতে হবে এবং দুর্নীতি ও অন্যায় থেকে দূরে থাকতে হবে।