---Advertisement---

আব্বাস সিদ্দিকী: ধর্মীয় নেতৃত্ব ও রাজনৈতিক প্রভাব

---Advertisement---

আব্বাস সিদ্দিকী পশ্চিমবঙ্গের একটি প্রখ্যাত সুফি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পরিবারের ঐতিহ্যবাহী আধ্যাত্মিক কেন্দ্র ফুরফুরা শরীফ (হুগলি জেলা) ভারতের মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ তীর্থস্থান। তাঁর দাদা, তোয়েবা সিদ্দিকী (বাবা ফুরফুরা), এই স্থানটিকে আধ্যাত্মিক ও শিক্ষাকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলেন। আব্বাস এই বংশীয় সূত্রে ধর্মীয় নেতৃত্বের দায়িত্ব

ধর্মীয় অবদান ও সমাজসেবা

তিনি ফুরফুরা শরীফের পীর হিসেবে পরিচিত এবং হাজারো অনুসারীদের আধ্যাত্মিক নির্দেশনা দিয়ে থাকেন। তাঁর বক্তব্যে তিনি যুবসমাজকে শিক্ষা, নৈতিকতা ও আধুনিকতার সঙ্গে ধর্মের সমন্বয়ের উপর জোর দেন। মাদ্রাসা শিক্ষার আধুনিকীকরণ, নারী শিক্ষা ও দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য তাঁর বিভিন্ন উদ্যোগ উল্লেখযোগ্য।

রাজনৈতিক যাত্রা

০২১ সালে আব্বাস সিদ্দিকী “ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট” (ISF) নামে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেন। এই দলটি পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়। তাঁর রাজনৈতিক লক্ষ্য হলো মুসলিম ও প্রান্তিক সম্প্রদায়ের অধিকার রক্ষা করা। বিশেষত, হাওড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও মুর্শিদাবাদের মতো অঞ্চলে তাঁর প্রভাব লক্ষণীয়।

সামাজিক মাধ্যম ও যুবশক্তির সংগঠক

তরুণ প্রজন্মের কাছে পৌঁছাতে তিনি ফেসবুক, ইউটিউবের মতো প্ল্যাটফর্ম সক্রিয়ভাবে ব্যবহার করেন। তাঁর জুমার নামাজের খুতবা ও বক্তৃতায় সামাজিক অসাম্য, বেকারত্ব ও শিক্ষার গুরুত্ব প্রাধান্য পায়। আব্বাস সিদ্দিকী কেবল একজন ধর্মীয় গুরু নন, বরং একটি রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতীকে পরিণত হয়েছেন। তাঁর কার্যক্রম ধর্মীয় চেতনা ও সমাজ পরিবর্তনের সংমিশ্রণে এক অনন্য মাত্রা যোগ করেছে। পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটে তাঁর ভূমিকা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও, তাঁর প্রভাব অপ্রতিরোধ্য।

Leave a Comment